এশিয়া কাপ মাঠে গড়াতে মাত্র একদিন বাকি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ছয় দল। কে শিরোপা জিতবে? এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিশ্লেষণে সবার আগে উঠে আসছে পাকিস্তান-ভারতের নাম। তবে বাদ যাচ্ছে না বাংলাদেশ। পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জহির আব্বাসের তালিকাতেও স্থান পেয়েছেন টাইগাররা।
এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০০৯ সালে লাহোরে টিম শ্রীলংকার ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানে আর খেলতে যায় না ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো। এর পর থেকে সেটি তাদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। চেনা কন্ডিশন, সেখানে পরিসংখ্যানও ভালো, অধিকন্তু সরফরাজদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। সব মিলিয়ে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে হট ফেভারিট পাকিস্তান।
নিজ দেশকে ফেভারিট মানছেন জহির আব্বাসও। সাবেক এ ব্যাটসম্যান বলেন, পাকিস্তান সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ খেলছে। টপঅর্ডাররা দুর্দান্ত করছে। বোলাররাও ফর্মে আছে। ফিল্ডিংয়ে উন্নতি হয়েছে। আমার বিশ্বাস, এশিয়া কাপেও তারা ভালো করবে। নিশ্চিতভাবেই ফেভারিট পাকিস্তান। এর পরই রয়েছে ভারত। তারাও ফেভারিট। আমার মনে হয়, এ দুদলের মধ্যেই শ্রেষ্ঠত্বের আসল লড়াইটা হবে।
তিনি মনে করেন, সীমিত ওভারের ম্যাচে কোনো দলকেই হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়। গ্রুপপর্বে ‘এ’ গ্রুপে আছে পাকিস্তান। যেখানে দলটির প্রতিপক্ষ ভারত ও হংকং। তা হলে কী হংকংয়ের বিপক্ষেও সতর্ক থাকতে হবে সরফরাজ বাহিনীকে?
জবাব দিয়েছেন আব্বাস। অবশ্য তেমনটি মনে করেন না তিনি, হংকং পাকিস্তানকে কোনো বিপদে ফেলতে পারবে না। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি হবে ভারত বনাম পাকিস্তানের। সবাই এ হাইভোল্টেজ লড়াইটি পছন্দ করে। সবাই তা দেখার জন্য উন্মুখ।
পাকিস্তান-ভারত তো ফেভারিট। বাকি দলগুলোর মধ্যে কাদের সম্ভাবনা দেখছেন? জবাবে ৭১ বছর বয়সী কিংবদন্তি বলেন, পাকিস্তান-ভারতকে বাদ দিলে শ্রীলংকা থাকে। সুযোগ খুঁজবেন লংকানরাও। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশ। এশিয়া জিততে পারে তারাও।
আব্বাসের যুক্তি, গেল কয়েক বছরে দারুণ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। এশিয়ার সেরা হওয়ার সুযোগ দলটিরও আছে। দল হিসেবে বেশ শক্তিশালী। এ টুর্নামেন্টে তারা ভালো করতে পারে।