সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার গুলিতে বিধ্বস্ত হওয়া একটি রুশ সামরিক বিমানের ১৫ আরোহীর মৃত্যুর দায় অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের ঘাড়ে চাপিয়েছে রাশিয়া।
বিবিসি জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় ২৩:০০ মিনিটে রাশিয়ার একটি আইএল-২০ নজরদারি বিমান নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে জানা যায়, সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে রুশ বিমানটি ভূমধ্যসাগরে ভূপাতিত হয়েছে। এতে বিমানের ১৫ আরোহী নিহত হন।
বিমানটি কাছাকাছি একটি ঘাঁটিতে ফেরার সময় উপকূল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে হামলার শিকার হয় বলে জানিয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ইসরাইলের একাধিক জঙ্গিবিমান রাশিয়ার আইএল-২০ বিমানটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এটিকে সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মধ্যে পড়তে বাধ্য করেছে। ওই সময় ইসরাইল সিরিয়ার লক্ষ্যস্থলগুলোতে বিমান হামলা চালাচ্ছিল। এ হামলা সম্পর্কে তারা মস্কোকে যথেষ্ট সতর্কবার্তা দেয়নি।
চারটি ইসরাইলি যুদ্ধবিমান সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলোতে হামলা চালানোর সময় বিমানটিকে ক্রসফায়ারের মধ্যে ফেলে দেয়ার জন্য ইসরাইলকে দোষারোপ করেছে রাশিয়া।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ডের কারণে রুশ সেনাবাহিনীর ১৫ সদস্যকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এ মৃত্যুর ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তবে টুইটারে এক বিবৃতিতে তারা রাশিয়ার বিমান ভূপাতিত করার জন্য সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে পুরোপুরি দায়ী করেছে।
এ প্রসঙ্গে ইসরাবাল বলেছে, সিরিয়া যখন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, ততক্ষণে ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো নিজেদের আকাশসীমায় ফিরে গিয়েছিল।
সিরিয়ায় ইরান ও হিজবুল্লাহর বিপক্ষে থাকা ইসরাইল সেখানে বেশিরভাগ সময়ই কোনো ঘোষণা বা সতর্কবার্তা ছাড়াই বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।
গত ১৮ মাসে ইসরাইল সিরিয়ায় ইরানের দুই শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে বলে জানান দেশটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্মকর্তা।
সিরিয়ায় ইরানের সেনাবাহিনীর তথাকথিত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে ইসরাইল সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, ইরানের অস্ত্র সিরিয়া হয়ে লেবাননের হিজবুল্লাহ গেরিলাদের কাছে যায়। হিজবুল্লাহ গেরিলারা সিরিয়া সরকারের হয়ে যুদ্ধ করছে।